পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় উদ্যান

 


১. সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত।

v  সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান

v  সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান

v  গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত।

v  সুন্দরবনে প্রচুর সুন্দরী গাছ দেখা যায়। এই গাছের নামেই সুন্দরবন নামাঙ্কিত।

v  ১৯৭৩ সালে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসাবে ঘোষিত হয়।

v  ১৯৮৪ সালের ৪ মেতে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়।

v  ১৯৮৭ সালে (ix) এবং (x) শ্রেণীতে প্রাকৃতিক সম্পত্তি হিসাবে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়।

v  ২০১৯ সালে সুন্দরবনকে রামসর সাইটের মর্যাদা দেওয়া হয় ।

v  সুন্দরবনের সজনেখালিতেলুথিয়ান দ্বীপে ও হ্যালিডে দ্বীপে আরও তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে।

v  সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগারবিভিন্ন ধরণের পাখিচিত্রা হরিণলোনা জলের কুমিরকেটো কচ্ছপস্বাদু জলের কুমির ও সাপ প্রভৃতির জন্য বিখ্যাত।

v  সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয় – ক্যানিংকে ।

 

২. বক্সা জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর জেলায় অবস্থিত।

v  ১৯৮৩ সালে টাইগার রিজার্ভ হিসেবে বক্সা টাইগার রিজার্ভ স্থাপিত হয়েছিল।

v  ১৯৮৬ সালে বক্সা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়।

v  অবশেষে ১৯৯৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটিকে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেয় ।

v  বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে বক্সা দুর্গ নামে একটি পুরনো দুর্গ আছে। দুর্গটিতে ব্রিটিশ যুগে একবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

v  বক্সা জাতীয় উদ্যানের উত্তর সীমাটি হল ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও সিঞ্চুলা পর্বতমালা। তার ওপারে রয়েছে ভুটানের ফিপসু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। পূর্ব সীমায় আছে পশ্চিমবঙ্গ-আসাম রাজ্যসীমা। তার ওপারে আছে আসামের মানস জাতীয় উদ্যান। দক্ষিণ দিকে রয়েছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক। দক্ষিণ-পশ্চিমের চিলাপাতা বনাঞ্চলটি বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

v  এখানে এশীয় হাতিবাঘগউরবুনো শুয়োরসম্বর হরিণ দেখা যায়। বহু প্রজাতির পাখি ও সাপও এখানে দেখা যায়।

v  বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে রাইডাক ও জয়ন্তী নদী বয়ে গিয়েছে।

 

৩. গোরুমারা জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত।

v  ১৯৯৪ সালের ৩১ শে জানুয়ারি এটি ভারতের একটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা পায় ।

v  লাটাগুড়ি শহরকে এই জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার বলা হয়।

v  জলঢাকা নদী এই জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে।

v  গোরুমারায় হাতিগণ্ডারগউরহরিণবুনো শুয়োরময়ূর প্রভৃতি পশুপাখি রয়েছে।

v  এখানে রাভারাজবংশীমেচকোঁচওঁরাওমুন্ডা ও টোটো উপজাতি বাস করে।

 

৪. জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত।

v  তোর্সা নদীর তীরে এই জাতীয় উদ্যান অবস্থিত।

v  ১৯৪১ সালে জলদাপাড়াকে বন্যপ্রাণ অভ্যয়ারণ্যের তকমা দেওয়া হয়।

v  ২০১২ সালে এটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা পায়।

v  এই অভয়ারণ্যের মুখ্য আকর্ষণ হলো এশীয় একশৃঙ্গ গন্ডার। এছাড়া এখানে বেঙ্গল টাইগারহাতিসম্বর হরিণমায়া হরিণচিতল হরিণহগ ডিয়ারবুনো শুয়োরগৌরবিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও সরীসৃপ দেখতে পাওয়া যায়।

 

৫. নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের কালিংপং জেলায় অবস্থিত।

v  ১৯৮৬ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়।

v  লাল পান্ডার জন্য এই জাতীয় উদ্যানটি বিখ্যাত।

v  এই জাতীয় উদ্যানে খয়েরশিশুশিরীষ প্রভৃতি বৃক্ষ দেখা যায়। প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় বাংলা বাঘচিতাবাঘবনবিড়াল ও কালো ভাল্লুককাঠবিড়ালিলাল পাণ্ডাদেশি বনরুইসম্বর হরিণগোরালবন ছাগল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ইত্যাদি।

 

৬. সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যান

 

v  পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত।

v  পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে নেপাল পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমান্তে এই জাতীয় উদ্যানের অবস্থিতি।

v  পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু ট্রেকিং-এর জন্য এই জাতীয় উদ্যান থেকে যাত্রা শুরু করতে হয়।

v  ১৯৮৬ সালে এটি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য এবং ১৯৯২ সালে জাতীয় উদ্যানের তকমা পায়।

v এই জাতীয় উদ্যানে ওকহেমলকরূপালি দেবদারুরূপালি ফার জাতীয় গাছবার্চ প্রভৃতি বৃক্ষ দেখা যায়। প্রাণীর ভেতরে দেখা যায় লাল পান্ডাসোনালী বিড়ালবনবিড়াল ও কালো ভাল্লুক

Comments

Popular posts from this blog

APTITUDE MCQ LIST

সাধারণ জ্ঞান MCQ LIST